ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভিটামিন সি এর ভূমিকা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভিটামিন সি এর ভূমিকা
বর্তমানে চারদিকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুই হলো ডেঙ্গু ।এটি ভাইরাসজনিত একটি রোগ । ডেঙ্গুর তেমন কোনো ওষুধ নেই। আবিষ্কৃত হয়নি কোন ভ্যাকসিনও। তাই প্রতিরোধই হলো ডেঙ্গুর একমাত্র ভরসা যেখানে সচেতনতাই হল মুল মন্ত্র।ডেঙ্গু মৌসুম মানেই বর্ষাকাল অর্থাৎ মে থেকে সেপ্টেম্বরই ডেঙ্গু আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিঃ কোন ব্যক্তির একবার ডেঙ্গু হলে তারক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার জটিল্যা অনেক বেশি হয়।এছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মা। এ রকম রোগীরা সহজে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হতে পারে। তাই তাদের জন্য দরকার বিশেষ সতর্কতা। তবে মনে রাখবেন, মাতৃদুগ্ধ পানের মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়ায় না।আর ডেঙ্গু ছোঁয়াচে রোগ না।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভিটামিন সি এর ভূমিকা
ডেঙ্গু হলে কি খাবেন?
বর্তমানে চারদিকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুই হলো ডেঙ্গু ।এটি ভাইরাসজনিত একটি রোগ । ডেঙ্গুর তেমন কোনো ওষুধ নেই। আবিষ্কৃত হয়নি কোন ভ্যাকসিনও। তাই প্রতিরোধই হলো ডেঙ্গুর একমাত্র ভরসা যেখানে সচেতনতাই হল মুল মন্ত্র।ডেঙ্গু মৌসুম মানেই বর্ষাকাল অর্থাৎ মে থেকে সেপ্টেম্বরই ডেঙ্গু আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
অনেক বেশি জ্বর,মারাত্মক মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা,গুরুতর জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা,ক্লান্তি, বমি,পাতলা পায়খানা, ত্বকের ফুসকুড়ি । এটি জ্বরের শুরু হওয়ার দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে দেখা দেয়। কয়েক ধরণের টেস্টের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয় করা যায়।
পরিপূর্ণ বিশ্রাম, বেশি করে তরল খাবার গ্রহণ ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান চিকিৎসা। স্যালাইন দিতে হতে পারে।এক্ষেত্রে অবস্থা বুঝে খাবার স্যালাইন বা নলের মাধ্যমে স্যালাইন দিতে হয়। মারাত্মক রূপ ধারণ করলে রোগীকে রক্ত দিতে হতে পারে। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। ডেঙ্গু জ্বরে সকল ধরনের এন্টিবায়োটিক পরিহার্য।
ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিঃ কোন ব্যক্তির একবার ডেঙ্গু হলে তারক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার জটিল্যা অনেক বেশি হয়।এছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মা। এ রকম রোগীরা সহজে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হতে পারে। তাই তাদের জন্য দরকার বিশেষ সতর্কতা। তবে মনে রাখবেন, মাতৃদুগ্ধ পানের মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়ায় না।আর ডেঙ্গু ছোঁয়াচে রোগ না।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভিটামিন সি এর ভূমিকা
মূলত এডিস মশার কামড় হতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখাই এর প্রধান প্রতিরোধ। তাই মশার আবাসস্থল হ্রাস অত্যন্ত জরুরি। এজন্য বিভিন্ন স্থান,ফুলের টবে আবদ্ধ পানি অপসারণ করতে হবে এবং শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঢেকে রাখতে হবে।অসুস্থতা রোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং মশার পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ।তবে সম্প্রতি ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা ও প্রতিরোধ সম্পর্কে কিছু বিশেষ রয়েছে।অনেকে দাবি করছেন যে ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করার জন্য এমন কিছু খাবার আছে যা আপনি সচারচার খেয়ে থাকেন বা সাপ্লিমেন্ট হিসাবে গ্রহণ করেন। এটা কি আসলেই সম্ভব ? এই দাবির পিছনে বৈধ বিজ্ঞান আছে কি?
প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে যে ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ সিস্টেমে কীভাবে কাজ করে। এটি অ্যাসকরবিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত। ভিটামিন সি এর বেশ কয়েকটি ভূমিকা রয়েছে। এটি দেহের টিস্যুগুলির মেরামত, বৃদ্ধি এবং বিকাশে সহায়তা করে। এটি আয়রন শোষণ, ক্ষতগুলি সারিয়ে তুলতে এবংহাড়, কার্টিলেজ এবং দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি অ্যান্টিবডি এবং শ্বেত রক্ত কোষের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বুস্ট করে।
ভিটামিন সি ইন্টারফেরনের স্তরও বৃদ্ধি করে [উৎস: অ্যাভেরি]। ইন্টারফেরন হ’ল একটি প্রোটিন যা আমাদের কোষগুলি ভাইরাস এবং রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা দেয়। এটি ভাইরাস বা বহিরাগত পদার্থের উৎপাদনে বাধা দেয় এবং সংক্রমণের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে ইন্টারফেরন সরাসরি কোষগুলিতে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে ডেঙ্গু ভাইরাসের ট্র্যাকগুলি বন্ধ করে এটির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে।[উৎস: ডায়মন্ড এবং হ্যারিস]
গত কয়েক বছর ধরে হোমিওপ্যাথস বা বিকল্প-ওষুধের চিকিৎসকরা ভিটামিন সি এবং ডেঙ্গু জ্বরের নিরাময়ের মধ্যে একটি যোগসূত্রের বিষয়ে কথা বলছিলেন। তাত্ত্বিকভাবে, এটি মনে হতে পারে যে ভিটামিন সি ইন্টারফেরন বৃদ্ধি করে এবং ইন্টারফেরন ডেঙ্গু জ্বরের অগ্রগতি রোধ করতে পারে, অর্থাৎ এটি রোগ নিরাময় করতে পারে। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, এখনও পর্যন্ত এটি কেবল একটি তত্ত্ব।
কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে ভিটামিন সি প্লেটলেট সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে যা ডেঙ্গু জ্বরের সাথে লড়াইয়ের সময় হ্রাস পায়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ ভিটামিন সি- এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন অ্যাকাই বেরি, কমলা, ব্লুবেরি এবং টমেটো খাওয়ার পাশাপাশি পরিপূরক গ্রহণের পরামর্শ দেয়। যাইহোক, এই তত্ত্বটি সমর্থন করার জন্য একাধিক উৎস দ্বারা বৈধতা প্রাপ্ত কোনও স্ট্যাডি নেই এবং কোনো অধ্যয়নেও প্রমাণিত হয় না যে কোনও নির্দিষ্ট খাবার প্লেটলেট সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।তবুও, রোগ চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের জন্য এবং ইন্টারফেরন এর উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দিনে 500 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকে ন্যাচারোপ্যাথ। [উত্স: ক্যারাহেলথ]
তবে, অনেক বৈজ্ঞানিক এবং চিকিৎসা গবেষণায় ভিটামিন সি রোগ নিরাময় করে এমন কোনও তথ্য প্রমাণিত হয়নি এবং এগুলি এমনকি ক্ষতিকারক হতে পারে[ উৎস: অফিট]। তদুপরি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Food And Drug
Administration,American Medical Association,Department of Health ans Human Services এবং অন্যান্য অনেক গ্রুপ সর্দি – বা ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ভিটামিন সি গ্রহণ করার পরামর্শ দেয় না।
তাহলে কি ভিটামিন সি ডেঙ্গু জ্বর রোধ করতে পারে? বিজ্ঞান বলে না,পারে না। নেচারোপ্যাথরা বলেন, হ্যাঁ পারে।
ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাল সংক্রমণ এবং সমস্ত ভাইরাস কার্যকরভাবে ভিটামিন সি দ্বারা মারা যেতে পারে, যা এমনকি কিছু মাত্রায় তা নিরাপদ। ভিটামিন সি একটি প্রাকৃতিক, অত্যন্ত কার্যকর এজেন্ট যা এডিস ভাইরাল সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে এবং নিরাময় করতে পারে তবে সমস্ত সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ভিটামিন সি এন্টি ইনফেকশন এজেন্ট হিসাবে কার্যকর হওয়ার জন্য, এটি উচ্চ মাত্রায় প্রচুর পরিমাণে এবং দীর্ঘ পরিমাণে দেওয়া উচিত।তবে ভিটামিন সি সংক্রামক এজেন্টদের বিরুদ্ধে অকার্যকর বলে দাবি করা হওয়ায় এটি প্রায়শই পর্যাপ্ত মাত্রায় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে না দেওয়া হয়। ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভিটামিন সি এর কার্যকারিতা ১৯৪৯ সালের প্রথম দিকে প্রমাণিত হয়েছিল যখন ৬০ টির মধ্যে ৬০ টি ভিটামিন সি দিয়ে পোলিও নিরাময় করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে, যখন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আকাশচুম্বী হয় তখন আমরা ভিটামিন সি ব্যবহার নিয়ে তর্ক বিতর্ক করছি। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য।
এই জাতীয় বিষয়ের বিরুদ্ধে ভিটামিন সি ব্যবহারের পর্যাপ্ত ক্লিনিকাল প্রমাণ রয়েছে যদিও এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয় এবং পদ্ধতিটি শিরা এবং মুখের মাধ্যমে হওয়া উচিত। সঙ্গত এবং গঠনগত ফলাফলগুলি দেখায় যে ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদির বিরুদ্ধে ভিটামিন সি কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ বোঝার অভাব থাকায় এটি ভিটামিন সি থেরাপির পথে দাঁড়ানো উচিত নয়।
আসুন কয়েকটি প্রাথমিক তথ্য দেখিঃ Food
ministration And Drug
Administration কর্তৃক রিকমেন্ডেশন হলো প্রতি দিন প্রায় 100 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি যা সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের উন্নতি না করে স্কার্ভি জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে। সর্বোত্তম স্বাস্থ্য অর্জন করতে, আমাদের একটি নির্দিষ্ট ডোজ দিয়ে নিজেকে পরিপূরক করতে হবে। তাহলে সর্বোত্তম মানব প্রাপ্ত বয়স্ক ডোজটি কী? নেটিভ ডায়েটে প্রায় 6 গ্রাম ভিটামিন সি থাকে এবং এটি আমাদের জন্য সর্বোত্তম ডোজ। এটাও সত্য যে প্রাণীগুলি সাধারণ ফ্লু, মুরগির পক্স, এইচআইএনআই বা (H7N9) ডেঙ্গু, ইবোলা বা এমনকি ক্যান্সারের মতো সংক্রমণে ভোগে না কারণ তারা লিভারে নিজস্ব ভিটামিন সি তৈরি করতে সক্ষম হয় (সরীসৃপ এবং উভচর কিডনিতে গ্লুকোজ থেকে তাদের জন্য ভিটামিন সি তৈরি করে)
দুর্ভাগ্যক্রমে, প্রকৃতি মানুষ, গিনি পিগস এবং ফলের বাদুরের কাছ থেকে এই আর্শিবাদটি কেড়ে নিয়েছে এবং তাই আমরা আমাদের নিজস্ব ভিটামিন সি তৈরি করতে সক্ষম হই না। বাস্তবে কেন গিনি পিগগুলি গবেষণায় ব্যবহৃত হয় কারণ তাদের নিজস্ব ভিটামিন তৈরি করতে অক্ষমতার কারণে। গবেষকগণ গিনি পিগগুলিতে সহজেই সংক্রমণ এবং ক্যান্সার প্ররোচিত করতে পারে। এই বাস্তবতার আলোকেই আমাদের সকলকে বোঝানো উচিত যে সর্বোত্তম স্বাস্থ্য এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন সি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর। এটা কি সত্য যে সংক্রমণের উপস্থিতিতে ভিটামিন সি এর জন্য দেহের প্রয়োজনীয়তা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ছাগলের উপর করা গবেষণায় দেখা যায় যে তারা প্রতিদিন প্রায় ১৩,০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি উৎপাদন করে এবং এটি সংক্রমণের উপস্থিতিতে ১০ গুণ বৃদ্ধি করে। এগুলো সবই নথিভুক্ত তথ্য।এমন হাজার হাজার অধ্যয়ন মেডলাইনে পাওয়া যায়। কেন আমরা এখনও এডিস আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি যক্ষ্মার মতো অন্যান্য সংক্রমণকে নিরাময়ে শিরাতে ভিটামিন সি ব্যবহার করতে দ্বিধা বোধ করছি?
এডিস মশার প্রজনন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি এখনও গ্রহণ করা উচিত। তবে, যখন কেউ এডিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, ৪৮থেকে ৭২ ঘন্টা এর মধ্যে নিরাময় সম্ভব, যদি ভিটামিন সি দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা হয়। ডাক্তার লিনাস পলিং, বিশ্বখ্যাত বায়োকেমিস্ট এবং একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুবার নোবেল প্রাইজ জিতেছিলেন, তিনি ১৯৭০ এর দশকের প্রথমদিকে সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহণের ক্ষেত্রে কেসটি জোরদার করেছিলেন। তিনি নিজেই প্রতিদিন ১০ গ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করেন এবং ৯৪ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। আমাদের মধ্যে যারা যত্নবান এবং বুদ্ধিমান, তারা হয়তো এটিকে বুঝে ফেলেছেন।
কিডনি বা রেনাল স্টোনের ভয়ে অনেকে ভিটামিন সি এর উচ্চ মাত্রা গ্রহণের ভয় পান। এটি প্রমাণ করার জন্য একটিও অধ্যয়ন নেই। তবে এটি সত্য যে রেনাল পাথরের প্রায় ৬০ টি কারণ রয়েছে। ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ৬, ডি -৩, অক্সালেট সমৃদ্ধ ডায়েটের ঘাটতি কারণগুলির কয়েকটি।সংক্রামক ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করে উপস্থিত প্রমাণগুলি অধ্যয়ন করুন এবং জীবন বাঁচানোর জন্য ভোগান্তি হ্রাস করুন।
সতর্কতাঃ এই ডোজটি দিনে 3,000 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর সমান, প্রস্তাবিত দৈনিক সীমা থেকে 1000 মিলিগ্রামেরও বেশি। মায়ো ক্লিনিক ওয়েবসাইট এর মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর প্রস্তাবিত দৈনিক পরিমাণ (আরডিএ) প্রতিদিন 65 থেকে 90 মিলিগ্রাম এবং বেশিরভাগ লোক স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মাধ্যমে এটি পেতে পারেন।ভিটামিন সি এর মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ গ্রহণ করতে পারবেন না কারণ কোনও অতিরিক্ত আপনার প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহ হতে নির্গত হয়। এবং হতে পারে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। যেমনঃ
§ বমি বমি
ভাব বা
বমি বমি
ভাব
§ ডায়ারিয়া
§ অম্বল
§ পেটে ফুলে
যাওয়া
§ মাথা ব্যাথা
§ কিডনি কিস্টাল
অথবা পাথর
ফ্লু থেকে ভাইরাস কিংবা ক্যান্সারের যে কোনও কিছুর জন্য ভিটামিন সি’ হল এক “অলৌকিক নিরাময়” বলে দাবি করা বেশিরভাগ দাবী লিনাস পলিংয়ের কাজ থেকে এসেছে [উৎস: অফিট]। পলিং ছিলেন একজন বিখ্যাত রসায়নবিদ যিনি রাসায়নিক বন্ধনে বিপ্লবী কাজের জন্য ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ।করেছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি “ভিটামিন সি এবং কমোন কোল্ড” নামে একটি বই প্রকাশ করেন।
ডেঙ্গু হলে কি খাবেন?
১. ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:- পেঁপে পাতার রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে ,পেঁপে পাতা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো-
*রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা বৃদ্ধি করে:- অনেক অ্যানিমেল স্টাডিজ নিশ্চিত করেছে যে, পেঁপে পাতার রস প্লেটলেট ও লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং রক্ত সংবহনের উন্নতি ঘটায়। গবেষণায় এটাও নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে, পেঁপে পাতার রস মানুষের ক্ষেত্রেও সমান প্রভাব ফেলে। ডেঙ্গুজ্বর নিরাময়ে পেঁপে পাতার নির্যাস ব্যবহার করার এটি একটি কারণ যেখানে রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে থাকে।
২. ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি যেমনঃপেয়ারা, মরিচ,বেল মরিচ আমড়া, জাম্বুরা, আমলকি,স্ট্রবেরি, কমলা, পেঁপেঁ,কিউয়ি ফল,ব্রকলি, গাঢ় সবুজ পাতা ও শাক, টাটকা ভেষজ জুস করে খেতে পারেন। এসব শাকসবজিতে থাকা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুন কার্যকরী। এ কারণে ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন- কমলা, আনারস, স্ট্রবেরী, পেয়ারা –এসব ফল বা ফলের জুস খেতে দিন। এ ধরনের জুস ভাইরাল সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বর সারাতে নিমপাতার রসও খুব কার্যকরী।খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে তরল পদারঠ।হতে পারে ভিটামিন সি জাতীয় ফলের জুস বা রস।
হারবাল চা ডেঙ্গু জ্বরের ঝুঁকি কমায়। এ কারণে জ্বর হলে দারুচিনি, লবঙ্গ, আদা দিয়ে চা পান করুন। ডেঙ্গু হলে পানিশূণ্যতা দেখা দেয়। এই সময় ডাবের পানি শরীরের পানিশূণ্যতা দূর করে । সেই সঙ্গে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।এ জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে তরল খাবার বিশেষ করে স্যুপ খেতে দিন। এটা ক্ষুধা বাড়াবে এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাবে।
অনান্য ভিটামিনঃ ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘কে’ ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং নিরাময়ে অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই এই সকল ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহন করতে হবে নিয়মিত। দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার, সবুজ-রঙ্গিন শাকসবজি, মাছ, মাংস হল এই ভিটামিনগুলোর ভাল উৎস।
সচেতনতা মানুষের প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রথম ধাপ। তাই ডেঙ্গু যুদ্ধে আতঙ্কিত না হয়ে জানতে হবে অনেক এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
লেখক-
ফাতেমা তুজমিলা মৌলী, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ।
ফাতেমা তুজমিলা মৌলী, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ।

No comments