প্রতিদিন এই ৭টি কাজ করে সুস্থ থাকুন


দেখতে দেখতে আরও একটি বছর পেরিয়ে গেল। নতুন বছরে সবাইকে অভিনন্দন জানানোও শেষ। কিন্তু সত্যি করে বলুন তো গত বছর কয়জন নিয়ম মেনে সুস্থ থাকার চেষ্টা করেছেন?
জানি অনেকেই করেন নি। অথচ প্রতিদিনের মাত্র কয়েকটি অভ্যাস পরিবর্তন করেই পুরোপুরি সুস্থ থাকা সম্ভব। চলুন
সেগুলো নিয়মিত করার চেষ্টা করি।
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ৭টি অভ্যাস
১। সকালের নাস্তাঃ সুস্থ থাকার প্রথম শর্ত হলো নিয়মিত সকালে স্বাস্থ্যকর নাস্তা গ্রহণ করা। এটি শুধুমাত্র আপনাকে সুস্থই রাখবে না বরং সারা দিনে আপানার শরীরে শক্তির সঞ্চার করবে।
শরীরের মেটাবোলিজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখবে, ক্ষুধামন্দা ও অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমিয়ে আনবে এবং আরও অনেক উপকারে আসবে।
২। খাবারের সময় এবং পরিমাণ নির্ধারণ: আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ ও সময় নির্ধারণ করে রাখুন। এক বেলা খেলেন তো আর এক বেলা বাদ দিলেন, এটা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এছাড়া নিয়ম করে খাবার খেলে আপনার সময় এবং অর্থতো বাঁচবেই সাথে সাথে আপনার শরীর সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে।
৩। পানি পান: আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য পানির ভূমিকা অপরিসীম। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। একজন মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিৎ।
৪। ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করার জন্য সকাল অথবা সন্ধ্যার সময় খুবই উপযোগী। এছাড়া কাজের ফাঁকে ফাঁকে উঠে হাঁটাচলার জন্য ব্রেক নিন।
একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, যারা নিয়মিত সপ্তাহে ৫ দিন ৩৫ মিনিট করে হাঁটে তাদের শরীরের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
৫। অফলাইন থাকা: প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে সবাই অনলাইনে ব্যস্ত। মোবাইল, কম্পিউটার, ট্যাব ইত্যাদি ডিভাইস ছাড়া সাধারণ মানুষের দিনই চলে না। তবে শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে প্রয়োজন ছাড়া এগুলো ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
অবসর সময়ে বই পড়া বা ঘুরতে বের হওয়া শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৬। নতুন কিছু শেখাঃ নতুন কিছু শেখার মজাই আলাদা। যখনই মানুষ নতুন কিছু শিখতে শুরু করে তখনই তার মধ্যে নতুন এক উদ্যমের সৃষ্টি হয়, যা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৭। ধূমপান ত্যাগ: সুস্থ থাকার জন্য ধূমপান বর্জন করা অনিবার্য। ধূমপানের কোনো উপকার তো নাই বরং অপকার করে সবচেয়ে বেশি। তাই আপনার ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।

No comments

Powered by Blogger.