কামরাঙ্গা কিডনির জন্য ক্ষতির কারণ হ’তে পারে!!!

কামরাঙ্গা কিডনির জন্য ক্ষতির কারণ তে পারে
এ্যাপোলো হসপিটালস ঢাকার একটি জনসচেতনতামুলক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, কামরাঙ্গা ফল বা এর রস খাওয়ার ফলে কোন ব্যক্তি হঠাৎ কিডনির কার্যক্ষমতা হারিয়ে কিডনি ফেইলিয়রের শিকার তে পারেন জানা যায়, পঞ্চাশ বছর বয়স্ক একজন সুস্থ সবল লোক তার বাসায় কামরাঙ্গা থেকে তৈরি
৩০০ কামরাঙ্গার জুস খালিপেটে পান করে ঘন্টাখানেকের মধ্যে তিনি অস্বস্তিবোধ, বমি বমি ভাব এবং পেটে ব্যথা নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি হন কামরাঙ্গার রস পান করার চার দিন পর তার প্রস্রাবের পরিমাণ অত্যধিক কমে যায় এবং কিডনির অকার্যকারিতা দেখা দেয়

পরবর্তীতে আরো ভাল চিকিৎসা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য এই রোগী এ্যাপোলো হসপিটালস ঢাকার নেফ্রোলজি কনসালটেন্ট ডাঃ গুলশান কুমার মুখিয়ার কাছে এলে, তিনি তাকে কিডানি বায়োন্সি করার পরামর্শ দেন এই হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষায় প্রচুর পরিমাণ রংবিহীন ক্ষুদ্রাকৃতির অক্সালেট স্ফটিক কনিকা পাওয়া যায় যেহেতু রোগীর অতি স্বল্প পরিমাণ প্রস্রাব নির্গত হচ্ছিল এবং বুকে জমাট বেধে কষ্ট হচ্ছিল সেজন্য তাকে উন্নত চিকিৎসার্থে দুইবার হেমো-ডায়ালাইসিস প্রদান করা হয় তিনি এ্যাপোলো হাসপাতালে দিন ভর্তি থাকার পর ডিসচার্জ হয়ে বাড়ি ফিরে যান এবং এই কিডনি ফেইলিয়র হবার ২০ দিনের মাথায় তার কিডনির কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণ স্বাভাবিকে ফিরে আসে

এই সম্পর্কে এ্যাপোলো হসপিটালস ঢাকার নেফ্রোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডাঃ গুলশান কুমার মুখিয়া বলেন, কামরাঙ্গা একটি অক্সালেট সমৃদ্ধ ফল, যা যে কারো কিডনি ফেইলিয়র স্বল্প পরিমাণ প্রস্রাব নির্গমনের কারণ তে পারে বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালেও প্রমাণসহ এই ধরনের ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায় কামরাঙ্গা খাওয়ার পর এই ধরনের স্বল্প পরিমাণ প্রস্রাব নির্গমনের সমস্যা দেখা দিলে একজন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বা নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নেয়ার জন্য ডাঃ মুখিয়া সাধারণ জনগণকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি আরো বলেন, যারা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত স্থূলকায় ভুগছেন এবং কিডনি রোগের ঝুকিতে আছেন অথবা যাদের কিডনিজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কামরাঙ্গা ফল না খাওয়াই উত্তম

No comments

Powered by Blogger.