চিকেন রেজালা রেসিপি
যারা মাঝে মাঝে সকালের নাস্তা বাইরে করে থাকেন তারা হয়তো জানেন যে ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী কিছু শহরের হোটেল-রেস্টুরেন্ট গুলোতে রুটি-পরোটা বা নানের সাথে একটা বিশেষ চিকেন রেজালা সার্ভ করে যা অন্যানো রেজালার থেকে একেবারেই আলাদা আর অনেক বেশি মজার হয়ে থাকে।
আপনাদের জন্য আজকে আমি সেই বিশেষ রেজালার রেসিপিটি নিয়েই হাজির হয়েছি। চলুন এক
নজরে দেখে নেই কি কি লাগবে। …
উপকরণ
মাঝারি সাইজে কেটে নেয়া মুরগির মাংস – ৮০০-১০০০ গ্রাম
পেঁয়াজবাটা – বড় ২ টি
আদা-রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
পোস্ত+কাজু বাটা – ২ টেবিল চামচ
টক দই – ১ কাপ
তেল – ২.৫ টেবিল চামচ
ঘি – ১ টেবিল চামচ
গোটা গরম মশলা – ফোড়নের জন্য
গুঁড়া গরম মশলা – ১/৪ চা চামচ
গোল মরিচের গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
চিনি – দেড় চা চামচ
পানি – ১/৪ থেকে ১/২ কাপ এর মতো
লবন স্বাদমতো
সামান্য ঘি ও কেওড়া জল রান্নার শেষে দেয়ার জন্য – ঐচ্ছিক
প্রণালী:
১। একটি পাত্রে মুরগির মাংস, লবণ, সাদা গোল
মরিচ গুঁড়ো, আধা চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট এবং দুই টেবিল চামচ টকদই একসাথে মিশিয়ে এক
ঘন্টা মেরিনেট করে রাখুন।
২। ব্লেন্ডারে কাজুবাদাম এবং পেঁপের বীজ একসাথে
ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন। প্রয়োজনে এতে কিছুটা পানি মেশান।
৩। একটি প্যানে ঘি গরম করতে দিন। ঘি গরম হয়ে
এলে এতে কালো গোলমরিচ, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচনিন, তেজপাতা এবং ধনিয়া দিয়ে দিন।
৪। সবগুলো উপাদান ৩০ সেকেন্ড ভাজুন। এরপর
এতে কাঁচা মরিচ, কাজুবাদাম এবং পেঁপের বীচের পেস্ট দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৫। টকদই দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নাড়ুন। এরপর সসের
মধ্যে মুরগির মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
৬। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০-৪০ মিনিট রান্না করুন।
৭। মুরগি সিদ্ধ হয়ে এলে এতে জাফরান দুধ, চিনি,
গোলাপজল দিয়ে দিন। যদি কিছুটা ঝোল রাখতে চান তবে এরসাথে কিছুটা গরম পানি মেশাতে পারেন।
৮। লাল শুকনো মরিচ এবং পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে
সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন রেজালা।
No comments